(ক) শিল্পকারখানাঃ এ উপজেলায় বড় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই।করিমগঞ্জ ও সাকুয়াবাজারে হাওড় এলাকা হতে আহরিত ঝিনুকের খোল দিয়ে মেশিনের সাহায্যেহাঁস-মুরগীর খাবার তৈরী করা হয়।এর ফলে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
(খ) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানঃ করিমগঞ্জ উপজেলায় তেমন কোন বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠাননেই।তবে ছোট ছোট অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।করিমগঞ্জ উপজেলায় ভাংগারীব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য ও পরিত্যক্ত লৌহজাতমালামাল প্রতিদিন ট্রাকযোগে করিমগঞ্জ হতে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়।
(গ) কুটিরশিল্পঃ মহিলা ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে হস্ত শিল্পের বিভিন্ন জিনিসতৈরী করা হয়ে থাকে।যেমন- নকশী কাথাম বাশ ও বেতের সামগ্রীসহ বিভিন্নআসবাবপত্র তৈরী করা হয়।করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের কাইকুরদিয়াগ্রামে শোভা জর্দ্দার ফ্যাকটরী আছে।জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামে মোমবাতিতৈরী করা হয়।
(ঘ) উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্রঃ করিমগঞ্জউপজেলার নিয়ামতপুর বাজারটি একটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র।এখানে একটি গো-হাটরয়েছে।ভাটি এলাকার লোকজন এখানে পাইকারী দরে গরু-চাগল ও মালামালক্রয়/বিক্রয় করে থাকে।তাছাড়া গুনধর ইউনিয়নের মরিচখালী বাজারটিও একটিউল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র।
(ঙ) কৃষি ভিত্তিক শিল্পঃ করিমগঞ্জশাক-সব্জির জন্য বিখ্যাত। এখানে রবি মৌসুমে প্রচুর পরিমান শাক-সব্জি উৎপাদিতহয়।টমেটো স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।এখানে একটি টমেটো কেচাপ তৈরীর কারখানা স্থাপন করা হলে দেমের চাহিদা পূরনকরেও বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস